মোঃ তরিকুল ইসলাম সাগর, গাজিপুর, স্টাফ রিপোর্টার
বাজার নিয়ে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের পরও দাম কমছে না। একটার পর একটা পণ্য সিন্ডিকেটের ফলে দাম বেড়েছে। যদিও বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার। এ ছাড়া ভোক্তা অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন জেলা পর্যায়ে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি বাজার মনিটর করছে।এর পরেও দাম বাড়ছে। শীতকাল চলে এলেও বাজারে এখনো নতুন আলু, গোল বেগুন, টম্যাটো, কাঁচামরিচ, ধনিয়া, উচ্ছে, গাজর, শিম কেজিপ্রতি ১০০ টাকার বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। দাকোপের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বড় সাইজের কালো গোল বেগুন এখনো ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন সবজি শিম ১২০ টাকা। দেশি টম্যাটো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়। আমদানি করা টম্যাটো ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। কাঁচামরিচ ১২০, করলা (বড় উচ্ছে) ১০০, ধনিয়া ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। নতুন আলু ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।
ধনিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ এবং গাজর ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেশি দামে সবজি কিনতে গিয়ে চরম বেকায়দায় পড়ছেন ক্রেতারা। অন্যান্য বছর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করে। এবার নভেম্বরের তিন সপ্তাহ পার হলেও সবজির দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই, উল্টো বেড়েছে। এ ছাড়া আলুর দাম এখনো চড়া। খুচরা দোকানগুলোতে পুরনো আলু ৭০-৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার আকারে ছোট সাইজের কিছু কমে বিক্রি হচ্ছে। পিঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে দেশি পিঁয়াজ মানভেদে সর্বনিম্ন ১২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা এবং আমদানি করা পিঁয়াজ সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজির বাজারে ফুলকপি, পাতাকপি, টম্যাটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটোল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙা, কচুর লতি, ঢ্যাঁড়শসহ অন্যান্য সবজির প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। এসবের মধ্যে ফুলকপি ও পাতাকপি আকারভেদে প্রতিটি ৫০-৭০ টাকা এবং লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পেঁপে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৭০, ঝিঙা ৬০-৭০, বরবটি ৭০-৮০, পটোল ৬০-৭০, মিষ্টিকুমড়া ৮০, লম্বা বেগুন ৭০, শসা ৭০ থেকে ৮০ এবং কচুর ছড়া ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ওজন অনুযায়ী ব্রয়লার মুরগি ১৮০-২০০ টাকা ও কক ২৯০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম ১৪০-১৫০ টাকা, সাদা ডিম ১৪০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।