স্টাফ রিপোর্টার, ইয়াসিন আরাফাত জাবের, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ আব্দুল সাত্তার স্কুল অ্যান্ড কলেজের দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মো: রুহুল আমীনকে গণসংবর্ধনা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। বুধবার সকাল ১১টায় স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠ প্রাঙ্গণে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয় । এতে অন্তত দেড় হাজার মানুষ অংশ নেয়।
জানা গেছে, উপজেলা শহর হতে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুর্গম চরমোন্তাজ ইউনিয়নে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথম প্রতিষ্ঠান চরমোন্তাজ এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়। অঞ্চলটির দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে ১৯৮৫ সালে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করেন তরুন রুহুল আমীন। এরপর দীর্ঘদিন নানা বাধা পেরিয়ে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়েছে, নিম্ন মাধ্যমিক থেকে মাধ্যমিক, কারিগরি শাখা এবং সবশেষ উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন বরেন্য অধ্যক্ষ। দীর্ঘ ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে শিক্ষায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২২ সালে পেয়েছেন, শের-ই বাংলা গোল্ডেন এওয়ার্ড, মাদার তেরেসা গোল্ডেন এওয়ার্ড। ২০২৪ সালে নেপাল-বাংলাদেশ এক্সিলেন্স এওয়ার্ড এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন।
উপজেলা ও জাতীয় পর্যায়ে এসব নানান পুরষ্কার প্রাপ্তিতে আনন্দিত হয়ে নিজ কর্মস্থলের সহকর্মী শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের উদ্যোগে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গণসংবর্ধনা আয়োজন করে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক মোসা: হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার অনাদি কুমার বাহাদুর, রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহামুদ হাসান রাজিব, চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহাতাব হোসেন, চর লক্ষীবেষ্টিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোলায়মান হোসেন, উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন খান, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুভ শিকদার, ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি অলিউল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মোশাররফ দালাল, চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রুনু খান, মোশারফ হোসেন, জালাল উদ্দিন, শুক্কুর হোসেন প্রমুখ।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির সকল শিক্ষক, অভিভাবক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় জনসাধারণ এতে অংশগ্রহণ করেন।