আব্দুল আলীম ইমতিয়াজ : স্টাফ রিপোর্টার (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পাশাপাশি রোগবালাই কম হওয়ায় পাকা ধানের শীষে যেন দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। এই মুহূর্তে মাঠে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে পুরোদমে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব এলাকায় ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকদের কর্মব্যস্ততা লক্ষ করা যাচ্ছে। কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে সঠিক সময়ে চারা রোপণ, সার, কীটনাশক ছিটানোসহ নিয়মিত পরিচর্যা করেছেন তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ১ শত ৫৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়েছে। ফলন হয়েছে ২ হাজার ১ শত ৬৫ হেক্টর জমিতে৷ এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে৷ এতে ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ২ শত ৪৬ মেট্রিক টন৷ ইতিমধ্যে ১ হাজার ৩৯ হেক্টর জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। কম্বাইন হারভেস্টারে দ্রুত ধান কাটতে পাড়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন কৃষকরা।
পাথারিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ্রাবন্তী রানী দেব বলেন, আমন রোপনের পর থেকেই ভালো ফলনের জন্য কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সার্বক্ষণিক পাশে আছি আমরা। এবার আমার পাথারিয়া ইউনিয়সহ উপজেলায় সর্বত্র উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার করায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ফলন বেশি হয়েছে।
উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামের কৃষক জাহির মিয়া জানান, দুই বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় ৩৬ মণ ধান পেয়েছেন৷ এখন সেই জমিতে তিনি সরিষা চাষ করবেন।
কান্দাগাঁও গ্রামের আরেক কৃষক মহিতুষ বলেন, ১০ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। ইতিমধ্যে কিছু জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে পুরাপুরি ধান কাটা শেষ করতে পারব। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পোকামাকড় ধানের কোন ক্ষতি করতে পারেনি। আশাকরি লাভবান হবো।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে যা ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অল্প দিনে রোপা আমন ধান ঘরে উঠার ফলে কৃষকরা সহজেই সরিষা চাষে যেতে পারবেন। আশাকরি আগামীতে এ উপজেলায় রোপা আমন ধানের আবাদ আরো বাড়বে।