মোঃ সুমন মিয়া, ক্রাইম রিপোর্টার, ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর
দিনাজপুর জেলা ঘোড়াঘাট উপজেলা রানীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্মচারী নিয়োগে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রধান শিক্ষক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই মর্মে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে জানা যায় ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আখতারুজ্জামান স্কুলের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আসার পরও সুষ্ঠুভাবে স্কুলের কোন কাজ করেনি। এবং স্কুলের নিয়োগ বাণিজ্য ব্যাপারে যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন তাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিয়োগ প্রদান করেছেন বলে জানা যায় স্থানীয় সর্বসাধারণের কাছে। নিয়োগ নীতিমালা জাতীয় বহুল প্রচারিত পত্রিকা ও স্থানীয় পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নীতিমালায় থাকলেও তিনি শুধু মাত্র ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে জেলার বিভিন্ন অপ্রচলিত সার্কুলেশন বিহীন পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা গোপন রেখেছেন। গোপন রাখায় স্থানীয়র কোন প্রার্থী অংশ নিতে পারেনি নিয়োগ পরীক্ষায়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন রেখে শুধুমাত্র পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করেছেন স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও স্কুল স্টাফ এর কাছ থেকে জানা যায় তিন পদে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। এ ব্যাপারে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলে তারা টাকার কথা ও স্বীকার করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনেক চালাক প্রকৃতির মানুষ। ২৩/৮/২০২৪ ইং তারিখ থেকে নিয়োগ বোর্ড করে নিয়োগ পরীক্ষা দেখানো হয় । জুলাই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর স্কুলের কমিটি বাতিল করায় আওয়ামী লীগের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিলুপ্ত করে । সভাপতি বাতিল করেন বাতিল হওয়ায় প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আখতারুজ্জামান তড়িঘড়ি করে সভাপতি স্বাক্ষর করে রেজুলেশন দেখিয়ে বিলের জন্য আবেদন করেন। এ ব্যাপারে আরো জানা যায় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান পিতা নুরুল ইসলাম সাং-কশিগাড়ি তিনি ওই স্কুলেই ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নৈইশ প্রহরী পদে এখনিস্টা সাথে কাজ করে গেছেন কিন্তু বিগত নিয়োগ বোর্ড পর্যন্ত তাকে নিয়োগের কথা বলে বিভিন্ন ভাবে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তালবাহানা করে আসতেছিল তবে নতুন বোর্ড করে তাকে নৈশ প্রহরী পদ থেকে বাতিল করে দিয়ে অন্যজনকে নিয়োগ প্রদান করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরো অনেক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।