স্টাফ রিপোর্টার: রকিব হাসান রবিন, নকলা, শেরপুর
জানা যায় গেল ৫ মাস আগে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার আমলের প্রভাবশালী বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন সরকারের রাজস্ব তহবিল থেকে রং রিপিয়ারিং এবং মেরামত বাবদ ২০ লক্ষ টাকা বিল নিয়েছেন জানা যায়। ঠিকাদার ইউএনও অফিসের অবৈধ কর্মচারী আতিক এবং বাগান রক্ষক সরকারি রাজস্ব খাত থেকে।
এই ভবনটি উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এবং উপজেলা প্রকৌশলীর জন্য বরাদ্দ, নিচে তথ্য আপা অফিস। মাত্র ৫ মাসের ব্যবধানে যদি সরকারি টাকা এবং সরকারি কাজের রং রিপিয়ারিংয়ের এই নমুনা হয়।তাহলে সেই সকল ব্যক্তিবর্গই তো জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ টাকা দিয়ে ময়মনসিংহ বা ঢাকাতে ফ্ল্যাট কিনবে নাতো কে কিনবে? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সেই ভবনগুলিতে আবারও রাজস্ব তহবিল থেকে নতুন বরাদ্দ তৈরি করে পুনরায় একই কাজ শুরু হয়েছে।একের পর এক অভিযোগের ভিত্তিতে খবর প্রকাশিত হলেও কোন ব্যবস্থা নেননি জেলা প্রশাসন। বর্তমানে কাজ করছেন প্রশাসকের সিএ। অতীত এবং বর্তমান ঘাটলে দেখা যায় এমন সব ঠিকাদার এই ভবনগুলিতে প্রতি বছর রাজস্ব তহবিল থেকে যে প্রায় ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ পান!! লোক দেখানোর জন্য কাজে তা সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা ব্যয় করেন কিনা সন্দেহ থেকে যায়। আর বাকি সরকারি রাজস্ব খাতের টাকা পুরোটাই যায় ইউএনওর ব্যাক্তিগত তহবিলে এবং কথিত ঠিকাদারও কিছু বন্টন পায়। তাই বছরে ২ বার রং রিপিয়ারিং করলেও কোন দিকে দরজা-জানালা খুলে যায়, কোনদিকে ভবনের আস্তর উঠে ভবন সাদা-কালো রং ধারণ করে।
বর্তমান জনসাধারণের অর্ধকালীন সরকার আমলে এ বিষয়ে শেরপুর জেলা প্রশাসন এর সুদৃষ্টি কামনা করেন নকলা উপজেলার সুশীল সমাজ এর সচেতন নাগরিকগণ।