স্টাফ রিপোর্টার: রকিব হাসান রবিন, নকলা, শেরপুর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর থেকে বন্ধ থাকা শেরপুর জেলা কারাগার অবশেষে ১৩০ দিন পর চালু করা হয়েছে। ১৩ হাজতি নিয়ে নতুন করে শুরু হয় জেলা কারাগারের কার্যক্রম।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার সরকার পতনের দিন বিকেলে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় শেরপুর জেলা কারাগারে। সে সময় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করলে কারাগার থেকে পালিয়ে যায় ৫১৮ বন্দী। এর পর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় কারাগার। পরে আসামিদের পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলা কারাগারে বন্দীদের রাখা হয়।
সেই ঘটনার চার মাসের বেশি সময় পর শেষ হয়েছে নির্মাণকাজ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার জুবাইর হোসেন।
এদিকে এখন পর্যন্ত অনেক জেল পলাতক আসামি গ্রেপ্তার বা স্বেচ্ছায় কারাগারে আসেননি।
স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কারাগার মেরামতে সংশ্লিষ্টদের চরম গাফিলতির জন্য এত সময় লাগল। চাইলে এক মাসের মধ্যেই কারাগার চালু করা সম্ভব ছিল। এতদিন শুধু আদালতের নির্দেশিতদের পার্শ্ববর্তী জামালপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় পাঠানো হয়েছে। সেখানেও পর্যাপ্ত জায়গা নাই।
এ ব্যাপারে শেরপুরের জেল সুপার মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, ‘আমাদের অফিসের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়নি এখনও। তবুও আমরা অফিসে বসে কাজ শুরু করেছি। আজ থেকে আদালতের মাধ্যমে পাঠানো বন্দীদের গ্রহণ শুরু করা হয়েছে। তবে বড় পরিসরে বন্দী রাখা এই মুহূর্তে কঠিন। দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতায় ফিরব আমরা। এ ছাড়া আমাদের বেশকিছু কয়েদী ও হাজতি পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলা কারাগারে রয়েছে। তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শেরপুরে স্থানান্তর করা হবে ইনশাল্লাহ।’