মারুফ আলম,নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আইল পাড়া এলাকায় এক তিতাস গ্যাস গ্রাহকের লাইন দীর্ঘ দুই মাস ধরে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। লাইনটি মূল তিতাস গ্যাস সংযোগ থেকে না হলেও এটি একটি বৈধ গ্রাহকের সংযোগ, যা এখন ড্রেনের ভেতর দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অব্যাহতভাবে গ্যাস লিক করছে। এতে আশেপাশের পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকেই ড্রেনের মধ্যে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে গ্যাস নির্গত হচ্ছে, যা একদিকে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ, অন্যদিকে যে কোনো মুহূর্তে আগুন লেগে বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। এলাকার মানুষের মধ্যে এই নিয়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এলাকাটিতে একাধিক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও কর্মজীবী মানুষের বসবাস থাকায় জনসমাগম সবসময়ই বেশি। যেকোনো ছোট্ট আগুনের স্ফুলিঙ্গ পুরো এলাকাকে ভয়াবহ বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে।
এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“এটা শুধু একটা গ্যাস লিক নয়, এটা পুরো পাড়ার জন্য একটা টাইম বোমার মতো। কেউ একটু সিগারেট ধরালেই কি হবে, সেটা আল্লাহই জানেন।”
আরেকজন বলেন,
“আমরা বহুবার স্থানীয়ভাবে জানিয়েছি, কেউ দেখতেও আসেনি। অথচ প্রতিদিন ড্রেনে গ্যাসের বুদবুদ আর গন্ধে টিকে থাকা দায় হয়ে যাচ্ছে।”
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে বারবার অবগত করা হলেও তারা এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। তাঁরা বলছেন, বিষয়টি ছোট করে দেখা হলেও এটি যে কোনো সময় বড় ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
এই বিষয়ে পরিবেশ সচেতন নাগরিক ও স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন,
“একটি গ্রাহকের লাইন হলেও যদি তা থেকে গ্যাস লিক হয়, তবে সেটি বন্ধে তিতাসের দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই। তারা চাইলেই বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে পারতেন।”
এলাকাবাসীর জোর দাবি,
১. দ্রুত ওই গ্রাহকের গ্যাস লাইন মেরামত করে লিকেজ বন্ধ করতে হবে।
২. আশেপাশের গ্যাস লাইনগুলো পরিদর্শন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. ভবিষ্যতে এমন অবহেলা যেন আর না হয়, সে জন্য তিতাস কর্তৃপক্ষকে আরও সক্রিয় হতে হবে।
এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা—তিতাস গ্যাস কত দ্রুত এই বিপজ্জনক পরিস্থিতির সমাধান করে। তার আগ পর্যন্ত আইল পাড়া যেন আতঙ্কের নাম হয়েই থেকে যাচ্ছে।