এস,এন নূর, বগুড়া:
জানা গেছে, নিহত সিফাত (১৪) পিতা মোঃ হাফিজার সাং উঞ্চুরখী, থানা গাবতলী, বগুড়া এর সাথে একই এলাকায় বাড়ি ইমরান হোসেন হাদু (৩৫), পিতা মোঃ মোন্তেজার, সাং উঞ্চুরখী উত্তরপাড়া, থানা-গাবতলী, বগুড়া তৃতীয় লিঙ্গের হওয়ায় সে অবিবাহিত ছিল এবং ভিকটিম সিফাত (১৪) এর সাথে সুসম্পর্ক থাকার কারনে মাঝে মধ্যে তার বাড়ীতে যাওয়া আসা করত। ইমরান হোসেন হাদু তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি সিফাতকে রেজিস্ট্রি করে দিবে বলে মাঝে মধ্যে বলত। ফলে ১নং ও ৩নং আসামী ভিকটিম সিফাত’কে হিংসা করত এবং সুযোগ বুঝে হত্যা করার পরিকল্পনা করতে থাকে। পরবর্তীতে গত ০৮/০৩/২০২৫ ইং তারিখ ইফতারের পর সিফাত তার বাড়ীর পাশে ঈদগাহ মাঠে গেলে ২নং আসামী ইমরান হোসেন হাদু রাত্রি অনুমান ২০.০০ ঘটিকার সময় তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। উপরোক্ত সকল আসামীদের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গত ০৮/০৩/২০২৫ রাতে গাবতলী পৌরসভার অন্তর্গত উঞ্চুরখী উত্তরপাড়া গ্রামস্থ ২নং আসামী মোঃ ইমরান হোসেন হাদু এর শয়ন কক্ষের ভিতরে সিফাত (১৪) কে গলায় গামছা পেচিয়ে নৃশংসভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা বগুড়া গাবতলী থানায় হত্যা মামলা রুজু করে। মামলা নং-১২, তারিখঃ ১০ মার্চ ২০২৫ ইং, ধারাঃ ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-১২, সিপিএসসি, এজাহার নামীয় আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় আজ ২০ এপ্রিল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, উল্লেখিত হত্যা মামলার ১ নং এজাহার নামীয় পলাতক আসামী গ্রেফতার হতে পরিত্রান পাওয়ার জন্য ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার গনকবাড়ী এলাকয় অবস্থান করতেছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২ অধিনায়ক র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া এবং র্যাব-০৪, সিপিসি-২, সাভার এর যৌথ আভিযানিক দল ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার গনকবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ১নং পলাতক আসামী মোঃ কামরুল(৩২), পিতাঃ মোঃ মোন্তেজার, সাং উঞ্চুরখী, থানাঃ গাবতলী, বগুড়া’কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাবতলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।