মারুফ আলম,
জুলাই গণহত্যা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রসিকিউটর আইনের আওতায় আওয়ামী লীগ এবং এর শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এক জরুরি বৈঠকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলটিকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রভাব এড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগকে আপাতত রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া যাবে না। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে আজ থেকেই এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখপাত্র এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানান, “আমরা একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছ বিচারিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই। এই কারণে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। দলের একাধিক সিনিয়র নেতা এই সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটি একটি বড় ধরনের পরিবর্তন এবং এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে পড়বে।
দেশ ও জাতির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন।