সাগর,টাঙ্গাইল:
টাঙ্গাইল জেলা কালিহাতি থানায় বাদী মোঃ বাদল মিয়া (৬৪), পিতা-মৃত ইদ্রিস আলী, সাং-কোকরাইল, থানা-কালিহাতি, জেলা-টাঙ্গাইল এর দায়েরকৃত এজাহার পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে,ভিকটিম মোঃ রায়হান (২৮) গত ০৭ বছর পূর্বে মুন্নি আক্তার এর সাথে প্রেম ভালবাসার মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের বিবাহের পর থেকে ভিকটিমের সাথে তার স্ত্রীর বড় ভাই মোঃ জনি (২৬) সহ অন্যান্য আসামীদের সাথে শত্রুতা শুরু হয়। পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামি মো : জনি (২৬) অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় ভিকটিম কে প্রায়ই মারপিট করত এবং বিভিন্নভাবে খুন করার হুমকি দিত। এরই প্রেক্ষিতে, গত ০৫ মে ২০২৫ তারিখে রাত অনুমান ০২:৪৫ ঘটিকায় টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানাধীন কোকরাইল সাকিনস্থ জনৈক হযরত আলীর পতিত জমিতে ভিকটিম রায়হান কে আসামী রুবেল (২৬) সহ অন্যান্য আসামীরা ধারালো দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র দিয়ে গুরুতর রক্তাত্ত জখম করে হত্যা করে লাশ ফেলে যায় । এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোঃ বাদল মিয়া (৬৪) বাদী হয়ে টাঙ্গাইল কালিহাতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৮, তারিখ- ০৬ মে ২০২৫, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। উক্ত মামলা রুজু হওয়ার পর সিপিসি-৩, র্যাব-১৪, টাঙ্গাইল ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কার্যক্রম গ্রহন করে।
এরই ধারাবাহিকতায়, সিপিসি-৩, র্যাব-১৪ টাঙ্গাইল ও সিপিএসসি, র্যাব-৫, রাজশাহী এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০ মে ২০২৫ তারিখ সময় রাত অনুমান ০০:৪০ ঘটিকায় নাটোর নলডাংগা থানাধীন খাজুরা ইউপির অন্তর্গত দুর্লভপুর গ্রামস্থ জনৈক মোঃ শহিদুল এর বসতবাড়ি হতে টাঙ্গাইল কালিহাতি থানার হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৩নং আসামী রুবেল (২৬), পিতা- নুরুল ইসলাম @ খন্ড, সাং- রামপুর হিন্দুপাড়া, থানা- কালিহাতি, জেলা- টাঙ্গাইল’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য টাঙ্গাইল কালিহাতি থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।