রাশেদ ইমরান লিখন, কুড়িগ্রাম :
কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক সভা। সভায় নেতারা রাজনীতিতে সৎ ও যোগ্য মানুষের অংশগ্রহণের গুরুত্ব, দলকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা এবং ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
ডা. সাখাওয়াত হোসেন (উলিপুর) বলেন, “আমাদের আকাঙ্ক্ষা বারবার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। ভালো মানুষরা রাজনীতিতে না এলে রাজনৈতিক মুক্তি সম্ভব নয়।”
রায়হান রাজু (রাজারহাট) বলেন, “একজন মেম্বার নির্বাচনে ৫-৭ লাখ টাকা খরচ করে অথচ তার সম্মানী খুবই সামান্য। ফলে সিস্টেমই তাকে দুর্নীতিতে বাধ্য করে।” তিনি ড. আতিকের উক্তি তুলে বলেন, “পাখির চোখে লক্ষ্য স্থির করে তারপর উন্নয়ন করতে হবে।”
নাজমুল ফেরদৌস লাবলু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘লেডি হিটলার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “এই দেশে সব দলই শাসন করেছে, আর আমরা এখনও তার ফল ভোগ করছি। এবার আমরা এনসিপি কে ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে দেখতে চাই আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয় কিনা!”
মাহফুজুল ইসলাম রুমি (ভুরুঙ্গামারি) আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই উপজেলা সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী হবে।”
নেসার (উলিপুর) বলেন, “এই সময়ে যদি আমরা সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী না হই, সামনে দুসময় দেখতে হবে।”
হাফিজুর রহমান জুয়েল (নাগেশ্বরী) দলীয় কার্যক্রম ও সদস্য সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
মোজাম্মেল হক বাবু (সদর) বলেন, “কুড়িগ্রাম ও রাজারহাটে চাইলে আমরা ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করতে পারি।”
মাওলানা দিনার মিনহাজ বলেন, “আমরা ফ্যাসিস্টদের দ্বারা নিপীড়িত হলেও আমাদের যেন সেই পথে না যাই, তা মাথায় রাখতে হবে।”
আব্দুল রাজ্জাক রাজ (নাগেশ্বরী) বলেন, “আপনারা যদি নিজের কাজগুলো ঠিকভাবে করেন, তাহলে পুরো কুড়িগ্রামের সবগুলো আসন আমাদের এমপি করতে পারবো।”
এড. আবদুল বারেক বলেন, “শুধু পরিকল্পনায় কাজ হবে না, এখন কাজের সময়। আমাদের লক্ষ্য ব্যালটের মাধ্যমে ভোটবাক্স ভরানো। সংগঠনের গতি বাড়াতে হবে।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা সংগঠক আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা সংগঠক লিটু সরকার, মাহমুদুর হাসান (রাজারহাট), শাওন (নাগেশ্বরী), ইমরান (উলিপুর), ও জান্নাতুন জাকিয়া (চিলমারী) প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন মাহমুদুর রহমান জুয়েল।
প্রধান অতিথি মুকুল মিয়া বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে গঠিত দলের এমন আয়োজনে সবাইকে ধন্যবাদ। এখন আর কথা নয়, কাজ করার সময়। এলোমেলো সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে গুছিয়ে নিতে হবে।”