নোটিশ:
Welcome To Our Website...
ব্রেকিং নিউজ :
সিলেট বিশ্বনাথ ১নং লামাকাজী ইউনিওন বাজার পয়েন্ট রমরমা মাদক কারবারে মানুষ দিশেহারা স্লিম হতে ইয়াবায় ঝুঁকছে ধনীর দুলাল দুলালীরা ৭নং কুসুম্বা ইউনিয়ন হরেন্দার মোড়ে ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রোগ্রামের আলোচনা বৈঠক ১১ বছর পর কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত টঙ্গীবাড়ীতে আসলাম সুইটস এন্ড বেকারীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসক্লাব কর্তৃক দুর্গাপুর উপজেলায় নতুন কমিটি ঘোষণা কুমিল্লায় যাত্রা শুরু করলো ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র, প্রথম পর্যায়ে ১৭ উপজেলায় চালু হচ্ছে ৩৪ টি ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র ইমাম উলামারা সমাজের দর্পণ-তাহসিনা রুশদীর লুনা সিলেট বিশ্বনাথ ১নং লামাকাজী ইউনিওন বাজার পয়েন্ট সহিদ ও দেলোয়ার রমরমা মাদক কারবারে মানুষ দিশেহারা দুর্নীতির ‘বরপুত্র’ হয়ে উঠেছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার উত্তর বিশ্বনাথ আমজদ উল্লাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নেছার আহমদ অতি বৃষ্টির কারণে ডুবে গেল চকরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল

ব্যাটারী পুড়িয়ে সিসা তৈরির ধোঁয়ায় কোমলমতি শিশুদের জীবন হুমকির পথ, তৈরি হচ্ছে শ্বাসকষ্ট

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫
  • ৩২১ বার পঠিত

শাহরিয়ার ফেরদৌস ,ধামরাই (ঢাকা):

 

ঢাকার ধামরাইয়ে অবৈধভাবে পুরাতন ব্যাটারী পুড়িয়ে সিসা তৈরির ধোঁয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট
সহ নানা ধরনের জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।ফলে জনস্বাস্থ্য ঝুকির মুখে পড়েছে এলাকাবাসি। এছাড়া ব্যাটারী পুড়িয়ে সিসা তৈরির ফলে তিন ফসলি জমিসহ বিভিন্ন গাছের ফল ঝরে পড়ছে । শুধু তাই নয় আবার বিভিন্ন গাছ কেটে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে। সেই কয়লা দিয়ে সিসা গালিয়ে পাটা তৈরি করে। যার কারণে দিন দিন এলাকার গাছপালা উজার হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরুপ।প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে আইনের তোয়াক্কা না করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের স্কেল এর পশ্চিম পাশে খোলা জায়গায় পুরাতন ব্যাটারী পুড়িয়ে সিসা তৈরি করিতেছে ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের মোঃ ওবায়দুল নামে এক ব্যাক্তি। তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অবৈধ ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে।পুরাতন ব্যাটারী পুড়িয়ে সিসা তৈরি করার ফলে পরিবেশের মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে বলে এলাকাবাসির দাবি। কারণ ব্যাটারী পুড়িয়ে সিসা তৈরি এবং কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করার ফলে কালো ধোঁয়ার কারণে আশ পাশের এলাকায় লোকজনের দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ধরনের অজানা রোগ এবং ছোট বড় সকলের দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট। এই ব্যাপারে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার ফলে উল্টো প্রতিবাদ কারীদের বিভিন্ন হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে এলাকা ছাড়ার হুমকি প্রদান করে ওবায়দুল। সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, ওবায়দুল পাশাপাশি দুইটি জায়গায় ব্যাটারী পুড়িয়ে সিসা তৈরির ফলে চারপাশের বাড়ীর টিনের তৈরি ঘরগুলির টিন ছিদ্র ছিদ্র হয়ে গেছে। কারণ পুরাতন ব্যাটারী পুড়িয়ে সিসা তৈরি ফলে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া চারদিকে ছড়িয়ে পরার কারণে শ্বাস প্রশ্বাসে ভেঁসে আসে ঝাঁঝালো গন্ধ। যা পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরুপ। শুধু তাই নয় মানুষের জন্য ও বিশাল ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। রাতের আধারে শ্রমিকরা কোন প্রকার নিরাপত্তা না রেখে খোলা জায়গায় হাতে মুখে গ্লাভস মার্কস না পরে আগুন জ্বালিয়ে পুরাতন ব্যাটারী পুড়িয়ে সিসা তৈরি করিতেছে। শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, এই ভাবে রাতে একই চুল্লিতে পুরাতন ব্যাটারী পুড়িয়ে সেই ব্যাটারী থেকে সিসা বের করা হয়। পরে সেই সিসা আবার লোহার তৈরি কড়াইয়ে ঢেলে পাটা তৈরি করা হয় এবং প্রতিটি পাটার ওজন প্রায় ৩০/৩২ কেজি। পরে সে গুলি বাজারে বিক্রি করা হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলে, আমার বাড়ীর পাশে এই কারখানার কারণে আমিসহ আমার বাড়ীর ছোট ছোট বাচ্চারা শ্বাসকষ্ট সহ নানা ধরণের রোগ দেখাদিয়েছে। এলাকার সবাই মিলে ওবায়দুলকে বার বার নিষেধ করা হয়।কিন্তু উল্টো সে আমাদের বিভিন ধরনের মামলা হামলার ভয়-ভীতি দেখায়।আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। তাই আমাদের দাবি যাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে খোলা জায়গায় এই অবৈধ সিসা কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।পুরাতন ব্যাটারী পুড়িয়ে সিসা তৈরি মিস্ত্রি কাদের জানান, ভাই কাগজপত্র সর্ম্পকে আমরা কিছু বলতে পারব না। এই গুলি সর্ম্পকে মালিক ভাল বলতে পারবে। আমরা জানি এই কাজ করলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের আসুখ হবে কি করব পেটের দুঃখে কাজ করে খায়।এই ব্যাপারে পথচারী মোঃ আতা মিয়া বলেন, পুরানো ব্যাটারীর সিসা গলানোর কারণে এলাকার অনেক মানুষের বিভিন্ন ধরণের রোগবালায় সহ মারাত্মক শ্বাসকষ্টের রোগে ভুগতেছে। জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে সেই সাথে এলাকার গাছ পালার সকল ফল ও জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। তিনি আর বলেন এসিডযুক্ত ধোঁয়া নির্গত হওয়ায় জমির ফসলের ক্ষতির কারণ।এই ব্যাপারে ব্যাটারী কারখানার মালিক মোঃ ওবায়দুল এর সাথে কথা বলতে গেলে সে সাংবাদিকদের বলে, আমরা ব্যাটারি কারখানা থেকে ওয়েছটিস এনে সেগুলি থেকে সিসা বের করে আগুনে গালিয়ে বাটা তৈরি করে বাজারে বিক্রি করি। আমরা কার কোন ক্ষতি করি না।এই ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আরিফুর রহমান বলেন, সিসা এমনি এক খারাপ পদার্থ। এইটা যেখানে পরবে, সেখানে কোন ধরনের ফসল হবে না। হলেও সেটা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।এই ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাফফাত আরা সাঈদ বলেন, অবৈধ সিসা কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে আইন অনুযাযী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আর বলেন যা মানবদেহের জন্য হুমকিস্বরুপ ও জমির ফসলের জন্য ক্ষতিকর সেই কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2024 দৈনিক দেশ প্রতিদিন
Design & Development By HosterCube Ltd.