মাসুম মন্ডল, জয়পুর :
রুমা খাতুন অজো পাড়ায় বসবাস করা অর্ধশিক্ষিত একজন গৃহিণী। সংসারের সকল কিছু সামলানের পাশাপাশি সংসারের আয় উন্নতির লক্ষ্যে অন্যের দেখে হাঁস পালন শুরু করেন। ১’হাজার হাঁসের বাচ্চা দিয়ে শুরু করে প্রথমেই বাজিমাত করেন কঠোর পরিশ্রমী সফল নারী উদ্যোক্তা রুমা। রুমা খাতুন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মোলান রশিদপুর গ্রামের সফল নারী উদ্যোক্তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম একজন কৃষক। সিরাজুল-রুমা দম্পতির ঘরে ৩ পুত্র সন্তান আছে। রুমা বলেন, হাঁসগুলো লালন-পালনে মাঝে-মধ্যে ছেলেরা সহ আমার স্বামীও সহযোগিতা করেন। প্রতি পিস হাঁসের বাচ্চা ৩২ টাকা দামে মোট ১’হাজার পিচ দিয়ে লালন পালন শুরু করি। ২০ দিন বয়স পর্যন্ত বাজারের ফিড কিনে বাচ্চাগুলোকে খাওয়াই এরপর ইরি ধান কাটার পর খোলা মাঠে ২’মাস পালন শেষে বিক্রয় করেছি। মাঠে বাচ্চাগুলোকে লালন পালনের সুযোগ পাওয়ায় বাজারের অতিরিক্ত খাবার খাওয়াতে হয়নি। ফলে খরচ কম হওয়ায় লাভ ভালো হয়েছে। তবে সর্দি জরে প্রায় দেড়শ বাচ্চা মারা যায়। খরচ বাদে ২’ মাসে বিক্রয় করে প্রায় ৮০ হাজার টাকা লাভ করেছি বলে জানান রুমা। আগামীতে ৪-৫ হাজার হাঁসের বাচ্চা পালন করব বলেও জানান তিনি।
পাঁচবিবি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ হাসান আলী বলেন, খামারিদের পাশাপাশি অনেক মহিলা নিজ বাড়িতে হাঁস-মুরগি পালন করে আসছে। ইরি ধান কাটার পর ওই জমিতে হাঁস পালনে তুলনামূলক কম খরচ হয় লাভ বেশি হয়। আমরা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে খামারিদের সকল প্রকার সহযোগিতা করে আসছি।