আব্দুল আলীম ইমতিয়াজ: সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এস এসসি পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের গুরতর অভিযোগ উঠেছে। বোর্ড নির্ধারিত ফি এর চেয়ে প্রতি পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে অন্তত ৫ শ থেকে ১ হাজার টাকা বাড়তি ফি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের এবারের এস এসসি পরীক্ষার্থী মো: ইমন মিয়া বলেন ফরম ফিলাপ করতে তার ২৬৬০ টাকা গুনতে হয়েছে। ইমন ওই বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক শাখা থেকে নিয়মিত পপরীক্ষার্থী। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যারা পরীক্ষা দিচ্ছে তাদেরকে আরও ২ শ টাকা করে বেশি দিতে হয়েছে। অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের কেউ কেউ ৩ হাজার পর্যন্ত ফি পরিশোধ করতে হয়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিলেট বিভাগের ২০২৫ সালের এস এসসি পরীক্ষার ফরম পুরনের বিজ্ঞপ্তি ঘেটে দেখা গেছে প্রতি পত্রের জন্য পরীক্ষার ফি ১১০ টাকা ও ব্যবহারিকের জন্য ৩০ টাকা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারন করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়াও প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর জন্যে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ফি ৮০ টাকা, মুল সনদ ফি ১৫০ টাকা, স্কাউট ফি ২৫ টাকা, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি ৫ টকা, রেডক্রিসেন্ট ফি ২০ টকা, বিএনসিসি ফি ৫ টাকা, উন্নয়ন ফি ৫০ টাকা এবং কেন্দ্র ফি মানবিক শাখার জন্য ৪০০ টাকা ও বিজ্ঞান শাখার জন্য ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া আছে।
সে অনুযায়ী মানবিক শাখায় একজন শিক্ষার্থী এস এসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ১৮৬৫ টাকা ফি পরিশোধ করার কথা থাকলেও ওই বিদ্যালয়ে ২৭ শ থেকে ৩ হাজার টাকা ফি আদায় করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে লাউড়েরগড় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম বলেন মানবিক শাখার জন্য ২৬৬০ টাকা ও বিজ্ঞান শাখার জন্য ২৭৬০ টাকা ফরম ফিলাপের ফি আদায় করেছি। বোর্ড নির্ধারিত হারেই ফি আদায় করেছেন বলে দাবী করেন তিনি। অতিরিক্ত ফি’র বিষয়ে জানতে চাইলে এর বিনিময়ে তিনি ৬ টি মডেল টেষ্ট নিয়েছেন বলে জানান।
তবে বিদ্যালয়ের আরেক পরিক্ষার্থী জুয়েল আমিন শিকদার জানায় স্কুলে কোন মডেল টেষ্টই নেয়া হয়নি। আমরা শুধু একটি টেস্ট পরীক্ষা দিয়েছি, তার জন্য আলাদাভাবে ৫শ টাকা ফি দিতে হয়েছে। পরে আরও ৮০ টাকা করে বাড়তি দিয়েছি।
বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির একাংশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও স্থানীয় জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোদাচ্ছির আলম সুবল জানান মানবিকে ১০ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে দিতে হয়, এর জন্য বোর্ডে ফি দিতে হয়। ২ টি পরীক্ষা আমাদের বিদ্যালয়ে নেয়া হয়, এর জন্য ছাত্রদের নিকট থেকে তার বিদ্যালয়ে কোন ফি আদায় করেন না বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। আগামী কাল (রবিবার) কোয়ারি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।