প্রতিনিধি মোঃমানিক মিয়া ;উত্তর সিলেটের দীর্ঘতম সেতু কোম্পানীগঞ্জে ধলাই সেতু এই সেতু দিয়ে তিনটি উপজেলার জনসাধারণের কম সময়ে যাতায়াতের বিকল্প রাস্তা হিসাবে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আছে ধলাই সেতু আর এই সেতুর নিচ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন থামছে না। প্রতিদিন শতাধিক বারকি নৌকার মাধ্যমে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন বালু ব্যবসায়ীরা। সেতুর নিচ এবং দুই পাশে ৫০ থেকে ২০০ গজের মধ্যে বালু উত্তোলন চলছে ফলে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে সেতুটি।
ধলাই সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর দুই পাশে এবং নিচ থেকে অবাধে বালু উত্তোলন চলছে। বারকি নৌকায় করে বালু তুলে নদীর পাড়ে স্তূপ করে রাখা হয়। পরে ট্রাক্টরে করে নেওয়া হয় পাশ্ববর্তী বিভিন্ন সাইটে। সেখানে পেলোডারের মাধ্যমে হাইড্রোলিক ট্রাকে লোড দিয়ে বালু বিক্রি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, গত দেড়-দুই মাস ধরে এই অবৈধ বালু ব্যবসা চলছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা নাটকীয় ভাবে দায়সারা দুয়েকটি অভিযান দিয়েছেন।বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশের পরেও থামছেনা এই সেতু ধ্বংসের কার্যক্রম, ফলে বেপরোয়া হয়ে গেছে নির্বিঘ্নে বালু উত্তোলন চলছেই। ফলে সেতুটি ঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, ব্রীজের কাছে এবং নদীর পাড়ে বাড়ি ও জমির দখল থাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বালু ব্যবসা করছেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী অনুসারী ফরিদ মিয়া, আনোয়ার, আব্দুল্লাহ, কালা মিয়া, ডিবল, দুলু মিয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভাতিজা বিলাল মিয়া। এ ছাড়াও বালু ব্যবসার জন্য তারা একাধিক সাইট ভাড়া দিয়ে হাইড্রোলিক ট্রাক প্রতি ১ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন। অদৃশ্য কারণে এসব কথিত জমির মালিক ও বেপরোয়া বালুখেকো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে না যথাযথ আইনি পদক্ষেপ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, উপজেলা প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে এবং সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ হয়,ধলাই সেতু
রক্ষায় স্থায়ীভাবে আনসার অথবা পুলিশ পোস্টিং করা হতে পারে।জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতু ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় পুলিশ প্রশাসনের যা করনীয় আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।