মামুন আলম (রিপন), কুমিল্লা:
কুমিল্লা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বাণিজ্য মেলার নামে চলছে ধনী, গরীব, মধ্যবিত্ত শ্রেণির পেশার মানুষের জুয়া নামক লটারির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ..! যা মধ্যবিত্ত ও গরীব শ্রেণী পেশার মানুষ হচ্ছে দেউলিয়া। তাদের কষ্টার্জিত উপার্জন দিয়ে হোন্ডা, স্বর্ণ, সিএনজি সহ বিভিন্ন পুরষ্কার লাভের আশায় হারাচ্ছে সেই অর্থ। তাদের এসব জুয়া নামক রমরমা ব্যবসা দেখেও না দেখার মতো প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনির বিভিন্ন মহল।
যারা লটারির টিকেট ক্রয় করেন, তাহারা বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত, কেউ কেউ আসতেছেন ভাড়া গাড়ি করে আবার কেউ আসেন নিজস্ব গাড়ি করে। লটারি টিকেট কেনার জন্য চলছে প্রতিযোগিতা, যা দেখলে অনেকেই মনে করবেন এখানে মন হয় ফ্রী তে টিকেট বিক্রি হয়। যে যেভাবে পারে মানুষ সেই ভাবে মাটিতে বসে, হোন্ডার সিটে, সাইকেলের সিটে, টেবিলে, ঘাসের মধ্যে বসে লিখে যাচ্ছেন লটারির পিছনে রঙ বা রঙের নাম ও ঠিকানা। টিকেটে নাম ঠিকানা লেখার জন্য দিতে হচ্ছে অর্থ। আর ৫ টাকার কলম বিক্রি হয় ১০ টাকায়।
আর এই লটারির টিকেট শুধু পুরুষ নয়, মহিলা, কিশোর, কিশোরী, যুবক ও বয়োবৃদ্ধ সহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ।
প্রতি মিনিটে কয়েক হাজার টিকেট বিক্রি হয়, যা আনুমানিক প্রতিদিন ১৫/২০ লক্ষ টিকেট বিক্রি হয়। অথচ মানুষকে ৫০ থেকে ৬০ টি পুরষ্কার দেয় যাহা বাজার মূল্য ১০/১২ লক্ষ টাকার পুরষ্কার। তাদের টার্গেট প্রথম পুরষ্কার ভালো মানের আকর্ষণ করা একটা পুরষ্কার দিবে যেটা মানুষকে টিকেট ক্রয় করতে আগ্রহ করে।
আমি ক্ষুদ্র একজন মানুষ হয়ে আপনারা যারা টিকেট ক্রয় করতেছেন, তাদের অনুরোধ করে বলবো যে, আপনারা যারা এই জুয়া নামক রমরমা ব্যবসায় লটারির টিকেট ক্রয় না করে, নিজের কষ্টের উপার্জিত টাকা দিয়ে নিজের পরিবার এবং সামাজিক ধর্মীয় কাজে ব্যয় করুন। এতে পরিবারে শান্তি এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারবেন।