নোটিশ:
Welcome To Our Website...
ব্রেকিং নিউজ :
কক্সবাজারে অবৈধ সিন্ডিকেটের লাইসেন্স বাতিল ও নবায়নের দাবিতে টমটম চালক সমিতির প্রতিবাদ সভা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত। কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীনের বিদায় : বাংলার গান হারালো মাটির সুর মধুপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত নকলায় ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপির বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল গাজীপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে পটুয়াখালীতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় চুয়াডাঙ্গায় চলন্ত পাওয়ারট্রলির পিন ভেঙ্গে দূর্ঘটনা, আহত ১৪ শ্রমিক সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে লাকসাম প্রেসক্লাবের মানববন্ধন খুলনা তেরখাদায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে ৩১পিচ ইয়াবাসহ আসামী আটক যশোরের চৌগাছায় মাসব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে

কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীনের বিদায় : বাংলার গান হারালো মাটির সুর

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৯ বার পঠিত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ

বাংলার গান আজ শোকে নিমজ্জিত। লালনের সুরকে যিনি জীবনের চেয়েও বড় করে বুকে ধারণ করেছিলেন, সেই কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই। শনিবার রাত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকার ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই যেন গোটা সাংস্কৃতিক অঙ্গন থমকে যায়।

ফরিদা পারভীন শুধু একজন গায়িকা ছিলেন না; তিনি ছিলেন বাংলার লোকগানের এক জীবন্ত ইতিহাস। লালনসংগীতকে শহর থেকে গ্রাম, দেশ থেকে বিদেশ—সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে তাঁর অবদান অনন্য। তাঁর কণ্ঠে লালনের গান যেন নতুন প্রাণ পেত, গানের প্রতিটি শব্দ হতো হৃদয়স্পর্শী, ভক্তদের আত্মায় দাগ কেটে যেত সেই সুর।

তাঁর প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাজারো ভক্ত-শ্রোতার চোখ ভিজে ওঠে। অনেকেই বলেন—“ফরিদা পারভীন চলে গেলেন, কিন্তু তাঁর কণ্ঠের সুর কি কখনো মারা যায়?”
বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক চেতনায় তাঁর নাম চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।

শিল্পী হিসেবে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছিলেন—একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা। কিন্তু তাঁর সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া। গানের মাধ্যমে তিনি মানুষকে শিখিয়েছেন প্রেম, মানবতা আর অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা।

আজ যখন শরতের আকাশে হালকা বৃষ্টি ঝরছে, তখন মনে হয়, প্রকৃতিও যেন কাঁদছে এই মহান শিল্পীর চলে যাওয়ায়। বাংলার মাটি হারালো তার এক অমূল্য কণ্ঠরত্ন।

বাংলাদেশ বাউল ও লোকশিল্প সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং লালন গবেষক সরদার হীরক রাজা বলেন,
“ফরিদা পারভীন ছিলেন বাউল গানের প্রাণভোমরা। তিনি শুধু লালনের গানই গাননি, লালনের দর্শনকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁর কণ্ঠের গভীরতা আর আন্তরিকতা আমাদের জন্য এক অনন্ত সম্পদ হয়ে থাকবে।”

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কেন্দ্রীয় সাধু সংঘের প্রতিষ্ঠাতা, সাংবাদিক শাহ আলম বলেন,
“ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে আমরা এক অমূল্য সম্পদ হারালাম। লালনের গানকে তিনি যেমন বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছেন, তেমনি প্রজন্মকে শিখিয়েছেন মানবতার শিক্ষা। তাঁর গানের প্রতিটি সুরে সত্য, প্রেম আর মাটির গন্ধ লুকানো আছে। তিনি ছিলেন বাংলার সংস্কৃতির আলোকবর্তিকা।”

ফরিদা পারভীনের স্মৃতি, তাঁর কণ্ঠ, তাঁর সুর—সবই চিরকাল বেঁচে থাকবে বাঙালির প্রাণে। তিনি হয়তো শরীরে নেই, কিন্তু প্রতিটি গানে, প্রতিটি লালনের সুরে, তিনি চিরজীবী হয়ে থাকবেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2024 দৈনিক দেশ প্রতিদিন
Design & Development By HosterCube Ltd.