নোটিশ:
• সারা বাংলাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে - 01810-535157 (Whatsapp)
ব্রেকিং নিউজ :
গাইবান্ধা সদর উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক পত্নী শাহাজাদী হাবিবা সুলতানা চাটখিলে এম পি প্রার্থীর গন সংযোগে হামলার অভিযোগ কুলাউড়ায় মাস ব্যাপি গ্রাম পুলিশ প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান কুলাউড়ায় জামায়াতের অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল কুলাউড়ায় ইউপি সদস্যার ইন্তেকাল কুলাউড়ায় বিএনপির মনোনয়ন প্রাপ্ত শকু সংবর্ধিত গাইবান্ধায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে ভয়াবহ জালিয়াতি ও অনিয়মের প্রমাণ কক্সবাজারের হোটেল কক্ষে ফাঁস দিয়ে পর্যটকের আত্মহত্যা কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের নাশকতা ঠেকাতে জামায়াতে ইসলামী কর্মীদের মাঠে অবস্থান ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক স্কুলশিক্ষার্থী নির্জন খান গাজীপুরের শ্রীপুরের ছাত্র

গাইবান্ধায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে ভয়াবহ জালিয়াতি ও অনিয়মের প্রমাণ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৯ বার পঠিত

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে ভয়াবহ জালিয়াতি ও অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদে। তদন্তে অনিয়ম নিশ্চিত হওয়ায় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

 

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আজিজুর রহমান।

 

এর আগে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি-১ শাখার উপসচিব মো. নুরে আলম স্বাক্ষরিত পত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

 

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম (নিবন্ধক) নিজের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড অবৈধভাবে অন্যের কাছে হস্তান্তর করে আইনবিরুদ্ধ কার্যক্রমে জড়িত হয়েছেন, যা জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্যভান্ডার (BDRIS)-এর নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

 

তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গত এক বছরে একই দম্পতিকে একাধিকবার পিতা-মাতা দেখিয়ে ২০টি ভুয়া জন্ম নিবন্ধন ইস্যু করা হয়। এর মধ্যে রুমি বেগমকে ১১টি ও রবিউল হাসানকে ৯টি জন্ম সনদে মাতা ও পিতা হিসেবে দেখানো হয়। যাচাই-বাছাইয়ে এসব নিবন্ধন ভুয়া প্রমাণিত হয়।

 

এর আগেও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগে গত ১৩ জুলাই ইউএনও কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম চেয়ারম্যানের নিবন্ধন ক্ষমতা স্থগিত করেছিলেন। বর্তমানে ইউনিয়নের নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. সালাহউদ্দিন।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতির পাশাপাশি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বিভিন্ন সরকারি ভাতা ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নেও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল লতিফ এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কাছে।

 

দামোদরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন বরখাস্ত জাহাঙ্গীর আলম। স্থানীয়দের দাবি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন।

 

এ ছাড়াও চেয়ারম্যান হওয়ার আগে তিনি ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের মাঠকর্মী ছিলেন। তখনও দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের দায়ে তিনি বরখাস্ত হয়েছিলেন এবং আত্মসাৎ করা অর্থ পরবর্তীতে ফেরত দেন।

 

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2024 দৈনিক দেশ প্রতিদিন
Design & Development By HosterCube Ltd.