নিজস্ব প্রতিবেদক (জালাল হাওলাদার): বিএনপির দীর্ঘদিনের গ্রুপিং প্রচারণাকে অচল করে দিচ্ছে; মাঠের শূন্যস্থান দখলে জামায়াতের প্রার্থী
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে নির্বাচনী সমীকরণ দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বিএনপির সংগঠনভিত্তিক বিভক্তি এবং প্রার্থী নিয়ে গভীর মতানৈক্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে দলটি এখনো কার্যকর প্রচারণা দাঁড় করাতে পারেনি। এই ফাঁকটাই ধীরে এবং ধারাবাহিকভাবে পূরণ করছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
বিএনপির গ্রুপিং: মাঠে বিভাজনের টানাপোড়েন
স্থানীয় পর্যায়ে যে চিত্র দেখা যাচ্ছে—
দলটি তিন শক্তিশালী গ্রুপে ভেঙে আছে তাদের প্রচারণায় সমন্বয় নেই। অনেক কর্মী মাঠে নামছেন না। কেন্দ্র থেকে আসা নির্দেশনাও ভেঙে যাচ্ছে স্থানীয় দ্বন্দ্বে।
একজন বিএনপি-সমর্থক নেতা বলেন,
“আমরা নিজেরাই বুঝতে পারছি না কোন গ্রুপের প্রচারণায় দাঁড়াবো। সবাই নিজের অবস্থান শক্ত করতে ব্যস্ত।”
এই পরিস্থিতিতে দলটির প্রচলিত ভোটব্যাংক কার্যত ছত্রভঙ্গ হওয়ার ঝুঁকিতে।
এদিকে জামায়াতের নেতা ড. মাসুদের নিয়মিত মাঠ-পরিচালনা ফল দিচ্ছে। বিএনপি যেখানে নিজেদের অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে ব্যস্ত, সেখানে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ কয়েক মাস ধরেই গ্রামভিত্তিক নেটওয়ার্ক সক্রিয় রেখেছেন।
যে কারণে তাঁর অবস্থান দ্রুত শক্ত হচ্ছে—
ইউনিয়ন পর্যায়ে সংগঠিত কর্মী-নেটওয়ার্ক তৈরি করে ঘনঘন গণসংযোগ করছে। তরুণ ভোটারদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক ও প্রচারণায় একই গতি বজায় রাখা
অনেক ইউনিয়নে দেখা যাচ্ছে—জামায়াতের প্রচারণা দৃশ্যত বিএনপির চেয়ে বেশি নিয়মিত ও সংগঠিত।
ভোটারদের মানসিকতাতেও বিশদ পরিবর্তন।
বাউফলে সাধারণত দলীয় ভোটই প্রাধান্য পায়। কিন্তু এবার দৃশ্যপট আলাদা। বিএনপির বিভক্ত অবস্থার কারণে তাদের ভোটারের মধ্যেও দ্বিধা দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে ড. মাসুদের প্রতি সমর্থন তুলনামূলকভাবে স্পষ্ট ও স্থিতিশীল।
একজন স্থানীয় বিশ্লেষক বলেন,
“বিএনপি এখনো নিজেদের ভিতরের সমস্যা রিসেট করতে না পারলে এই আসনে ফল তাদের বিপরীতে হবে। জামায়াতের প্রার্থী মাঠে যেভাবে চলছে, তিনি এখন বাস্তবিক একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী।”
সমীকরণ যেদিকে যাচ্ছে
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাউফল আসনের নির্বাচনী বাস্তবতা দাঁড়িয়েছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকট এখনো নিয়ন্ত্রণে নেই। প্রচারণায় ঘাটতি বাড়ছে
জামায়াতের সংগঠিত প্রচারণা স্থিরভাবে শক্তিশালী হচ্ছে ভাসমান ভোটারদের বড় অংশ এখনো সিদ্ধান্তহীন।
এই সবকিছু মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন সম্পূর্ণ নতুন মাত্রায়। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিএনপি এখনই নিজেদের ঘর সাজাতে না পারলে শেষ মুহূর্তে বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে।