মন্জুরুল আহসান
কাউনিয়া রংপুর প্রতিনিধিঃ আশ্বিনের শুরু থেকে অস্তিকর গরমের পর টানা দুইদিন ধরে কাউনিয়া উপজেলা সহ রংপুরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ঝরছে। বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। এদিকে হালকা থেকে মাঝারি, আবার ভারী বর্ষণের ফলে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। তবে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ও শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুদিন পর্যন্ত রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আছে। এর ফলে তিস্তা নদীর পানি সমতল আগামী দুইদিন পর্যন্ত দ্রত্র বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তীদিন পর্যন্ত নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামী দুইদিন পর্যন্ত রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল সর্তক সীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এতে করে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রংপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে সকাল ৬টায় ও ৯টায় পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৭৬ সেন্টিমিটার এবং বেলা ১২ টায় ৫১ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। বিকেল ৩ টায় পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে বিকেল ৩ টায় কাউনিয়া রেলসেতু পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ২৮ দশমিক ৭৯ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার দশমিক ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির চাপ সামলাতে ব্যারেজের ৪৪ জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে।