স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ—-
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার দবিরগঞ্জ আলহাজ্ব আহমদ আলী দাখিল মাদ্রাসা’র সুপার সেফাত উল্লাহ’র বিরুদ্ধে অসদাচরণ,নানা অনিয়ম,দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবকবৃন্দ ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আলহাজ্ব আহমদ আলী দাখিল মাদ্রাসা হল রুমে প্রতিবাদ সভা করে মাদ্রাসার সামনে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপি আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার তৌহিদুর রহমান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে মহাসড়ক অবরোধ থেকে তুলে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্টানে নানান অনিয়ম ও বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,হাসান মতিউর,ইকবাল,মিম।এসময় বক্তরা বলেন,আমরা গত ২৮ আগষ্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে আসছি। বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ দিয়েছি। মানববন্ধন করেছি। তাতেও যখন কাজ হচ্ছে না তার কারনেই আজ আমরা অভিভাবক ও এলাকাসী স্থানীয়দের সহযোগিতায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করছি। আমাদের দাবী না মানা পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচি চলবে।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার তৌহিদুর রহমান মানববন্ধনে বলেন, মাদ্রাসা সুপার সেফাত উল্লাহ অসদাচরণ, নানান অনিয়ম দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যে, দবিরগঞ্জ বাজারে মার্কেট ভাড়ার টাকা,পুকুর লিজের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি ৫০ লাখ ২৭ হাজার টাকা হিসাব না দিয়ে আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণসহ মেয়াদ উত্তীর্ণ ম্যানেজিং কমিটিতে অযোগ্য লোকজন দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেছেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এখন এলাকাবাসী এসবের জবাব চাইলে তা না দিয়ে সুপার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যে কারণে মাদ্রাসায় বর্তমানে অচলাবস্থা সৃষ্ঠি হয়েছে। তারা অতিদ্রুত সুপারের অপসারণ দাবি করেন।
এদিকে এ বিষয়টি জানতে মাদ্রাসায় গিয়ে সুপার সেফাত উল্লাহকে পাওয়া যায়নি। জানা যায়, তিনি মাদ্রাসায় না এসে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এবং বাচার বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ করছেন।
দবিরগঞ্জ আলহাজ্ব আহমদ আলী দাখিল মাদ্রাসা’র সুপার সেফাত উল্লাহ’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করালে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলা করেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কোন প্রকার অর্থ আত্মসাধ করা হয়নি। যখন যা খরচ করা হয়েছে তার ভাউচার রয়েছে। কিছু স্থানীয় লোক জন ছাত্র-ছাত্রীদের ভুল বুঝিয়ে আমার লাগিয়ে দিয়েছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন,মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।