স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ মঞ্জুরুল আহসান,কাউনিয়া
কাউনিয়ায় খরিপ-২ মৌসুমে রোপা আমন ধানের স্বল্পমেয়াদী হাইব্রিড ও উপশী জাতের সোনালী ধান ইতোমধ্যে গোলায় উঠতে শুরু করেছে। মাঠে মাঠে ধান পেকে সোনালী আকার ধারন করেছে। নানা প্রতিকুলাতার পরও ক্ষেতের সোনালী ধান দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে তিস্তা নদীর চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকায় স্বল্পমেয়াদী হাইব্রিড ও উপশী জাতের ধান পাকার পর কাটতে শুরু করেছে। মাঠে মাঠে সোলানী ধান উঁকি মারছে। নানা প্রতিকুলাতার পরও সোনালী ধানের ভাল ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুঠেছে। কৃষক বলছেন আগাম জাতের ধান গোলায় উঠতে শুরু করেছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাকী সোলালী ধান গোলায় তুলবেন। কেউ কেউ ধান কেটে বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন। গেদ্য বালাপাড়ার কৃষক বৌদি আর রহমান বদি জানায় তার ২৫শতক জমির ধান কাটার পর ফলন ভালো হওয়ায় আমি খুব খুশি হয়েছি। উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে অধিকাংশ আগাম জাতের ধান কাটা শুরু করেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাগেছে উপজেলা কৃষি অফিস জানায় উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১১ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষা হয়েছে ১১ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে, আর উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৪৭ হাজার ৮৮০ মেট্রিক টন। খরিপ-২ মৌসুমে ২৮৩০ হেক্টর জমিতে স্বল্পমেয়াদী হাইব্রিড ও উপশী রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া আক্তার বলেন বাতাসে কিছু ধান মাটিতে পড়ে গেছে। বাতাস কমে গেলে ধান গাছ আবার দাঁড়িয়ে যাবে। খেতের তেমন ক্ষতি হবেনা। ইতোমধ্যে আগাম জাতের পারিজা ধান কাটা শুরু হয়েছে। এপর্যন্ত ২৫০ হেক্টর জমির ধান কর্তন হয়েছে। চলতি মৌসুমে কৃষক খরার কবলে পরলেও অতিরিক্ত সেচ দিয়ে ফসল টিকিয়ে রেখেছে কৃষক এবং ফলনও ভাল হয়েছে। আর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে মাঠে বর্তমানে যে অবস্থা তাতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।