স্টাফ রিপোর্টার, পলাশ, চিলাহাটি ডোমার নিলফামারী
নীলফামারী জেলার চিলাহাটি ১ নং ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে পিতা পুত্রের দীর্ঘদিনের জমিজমা নিয়ে রেষারেষি চলছিলো এ দ্বন্দ্বের চরম পর্যায়ে পুত্রের হাতে পিতার খুন।
প্রতিবেশীর সূত্রে জানা গেছে বাবা রবিউল ইসলাম সাবুল ( ৫০) ও ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (২৫) এদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে জমি জমা ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাবা ও ছেলের রেষারেষি চলছিল ঘটনার দিন ১৩ই নভেম্বর ছেলে সিদ্দিক তার জমি থেকে কাটা ধান নিয়ে এসে বাড়ির উঠোনে একটি জায়গায় পালা (পুজ) করে রাখতে চেয়েছিল কিন্তু দীর্ঘদিনের পিতা পুত্রের রেষারেষির কারণে পিতা সাবুল বাড়ির উঠোনে পুজ করতে নিষেধ করে তাদের দুজনের রেষারেষি জেতা জেদির উচ্চ বাক্যের এক পর্যায়ে একে অপর কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এক পর্যায়ে পিতার সাবুল ছেলেকে মারার উদ্দেশ্যে হাতে একটি ধারালো দা নিয়ে ছেলেকে ধাওয়া করে। ছেলে পালিয়ে ঘরের মধ্যে দরজা আটকে নিরাপদে আশ্রয় নেয় পিতা সাবুল উত্তেজিত হয়ে ঘরের বেড়ার রশি কেটে ভিতরে প্রবেশ করে ছেলের উপরে এলোপাথাড়ি ছুড়ি চালাতে থাকে এক পর্যায়ে ছেলে পিতার হাতের ধারালো ছুরিটি কেড়ে নিয়ে পিতা সাবুলকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে এতে পিতার দুই হাতের দুই বাহু ও পিঠের দিকে বেশ গভীর ক্ষত হয়। ঘটনার সময়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশেপাশে লোকজন এসে সাবুলকে উদ্ধার করে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেই পথিমধ্যেই সাবুলের মৃত্যু হয় পরে মৃত সাবুলকে তার নিজ বাসায় নিয়ে যায়। ঘটনাটি মুহূর্তের মধ্যে মানুষের কানাকানিতে প্রচার হলে মৃত সাবুলের বাড়িতে হাজারো মানুষের ঢল নেমে যায় সেখান থেকে কেউ একজন প্রশাসনকে জানাইলে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মশিউর রহমান তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ঘটনার তথ্য উপাত্য সংগ্রহ করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন।
উক্ত ঘটনার বিষয় দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার চিলাহাটি প্রতিনিধিকে চিলাহাটি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মশিউর রহমান জানান, খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছে তাৎক্ষনিকভাবে আসামীকে আটকের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয় নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবার মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অপরদিকে আসামীকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।