সালমান সিদ্দিক, স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ যমজ শিশু(২০জন) রয়েছে।
চেহারায় মিল থাকায় যমজদের আলাদা করতে অনেক সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় সহপাঠীদের, শিক্ষকেরাও প্রায়ই বিপাকে পড়েন। ওই শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যেও বেশ উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়।
অভিভাবক দিলদার আলী ও আক্তার বলেন, ‘আমাদের দুই শিশু রুকু ও রিভা এই স্কুলে পড়ে। আরও ২ যমজ শিশু এই স্কুলে পড়াশোনা করেছে এর আগে। ওই দুইজন এখন অন্য স্কুলে পড়ছে।’
শিশু শ্রেণির যমজ দুই শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমানের বাড়ি মোস্তফাপুর গ্রামে। তাদের মা বৃষ্টি আক্তার বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করছি। চাওয়া-পাওয়া সব একই রকম তাদের। একজন বিদ্যালয়ে না আসলে আরেকজন আসতে চায় না। একজন তাড়াতাড়ি যেতে চাইলে আরেকজন আর অপেক্ষা করতে চায় না। আমরা সবকিছু মেনে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। ওদের নিয়ে সবার মধ্যে বাড়তি আনন্দ ও ভালোবাসা কাজ করে।’
অভিভাবক রাশিদা বেগম বলেন, ‘যমজ সন্তান লালন–পালন করা কষ্টের। ওদের চাহিদা, রুচিবোধ আলাদা। ছেলে খেতে ভালোবাসে মুরগির রোস্ট। মেয়েটার পছন্দ পোলাও, মাংস ও মিষ্টি। তবে যতই ঝগড়া করুক, একজন আরেকজনকে ছেড়ে থাকতে চায় না।’
বদরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষক অনিতা রানী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এমন অনেক যমজ শিশুকে শিক্ষা দিয়ে আসছি। ক্লাসে তাদের আচরণ দুজনের সাধারণত একই রকম হয়। বাথরুমে কেউ একজন যেতে চাইলে অন্যজনও যেতে চায়। তবে এই সুবিধাগুলো আমরা দিয়ে থাকি, কারণ আমরা ওদেরকে বুঝতে পারি।’
অভিভাবক রাশিদা বেগম বলেন, ‘যমজ সন্তান লালন–পালন করা কষ্টের। ওদের চাহিদা, রুচিবোধ আলাদা। ছেলে খেতে ভালোবাসে মুরগির রোস্ট। মেয়েটার পছন্দ পোলাও, মাংস ও মিষ্টি। তবে যতই ঝগড়া করুক, একজন আরেকজনকে ছেড়ে থাকতে চায় না।’
বদরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষক অনিতা রানী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এমন অনেক যমজ শিশুকে শিক্ষা দিয়ে আসছি। ক্লাসে তাদের আচরণ দুজনের সাধারণত একই রকম হয়। বাথরুমে কেউ একজন যেতে চাইলে অন্যজনও যেতে চায়। তবে এই সুবিধাগুলো আমরা দিয়ে থাকি, কারণ আমরা ওদেরকে বুঝতে পারি।’