ষ্টাফঃ রিপোর্টার মোঃ শান্ত
ফতুল্লায় তানজিদা আক্তার পপি নামে এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী হীরা চৌধুরীকে ৩৩ মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।গতকাল সোমবার ২৫ নভেম্বর দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় ঘোষনা করেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত হীরা চৌধুরী ফতুল্লা থানার পূর্ব লামাপাড়ার ওমর চৌধুরী তুহিনের ছেলে। আর নিহত তানজুদা আক্তার পপি ফতুল্লার বক্তাবলীর রাজা পুরের মৃত আলী আশরাফের মেয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোট পুলিশের পরিদর্শক মোঃ কাইয়ুম খান বলেন, স্ত্রীকে হত্যার দায়ে হীরা চৌধুরী নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসলী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির বলেন। রাগের মাথায় রাতের বেলায় ঘুমের মধ্যে নিজ স্ত্রীর গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি আঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করে।পরে মামলা হলে তাকে গ্ৰেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি। আজকে সেই মামলায় তার মৃত্যুদন্ডের রায় দেন আদালত। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে হিরা চৌধুরীর সঙ্গে তানজিদা আক্তার কপি বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পপির কাছ থেকে শশুর বাড়ির লোকজন নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করে আসছিলেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে পপির মা তাসলিমা বেগম ৫০ হাজার টাকা দিয়ে এসে ছিলেন মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে সবশেষে হত্যার আগের দিন দুপুরে ও পপির শ্বশুর বাড়ি গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে এসে ছিলেন তাসলিমা বেগম পরের দিন ২০২১ সালের ২৬ মে শশুর বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়,তার মেয়ে শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে।সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন, মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করেছেন তারাই স্বামী এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৬ মে ফতুল্লা থানায় ভিকটিমের ছোট ভাই মোঃ শাকিল মামলা করেন।