স্টাফ রিপোর্টার: ইমন
মৌলভীবাজারের বড়লেখার সুজানগর ইউনিয়নের হাওরপারের ১০ গ্রামের কাঁচা ও সরু রাস্তার জন্য প্রায় ২৫ হাজার জনসাধারণ চরম দূর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে । এছাড়া বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় পানি উঠে সবচেয়ে বেশি দূর্ভোগে পড়েন এসব গ্রামের শিক্ষার্থী বছরের ৩ মাস বাধ্যতামূলক বন্ধ রাখতে হয় ক্লাস । ক্লাস করতে না পারায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে । দ্রুত রাস্তা উচু করে পাকা করার ব্যবস্হা করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট দুই শিক্ষা প্রতিষ্টান প্রদান শিক্ষার্থীও ভুক্তভোগী , এলাকাবাসীর জোরালো দাবি।
সরেজমিনে বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের পাঠনা, চরকোনা দশঘরি, কটালপুর, রাঙ্গিনগর,বাড্ডা, জগড়ি, ভোলারকান্দি,
রাঘমারা, আমবাড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায় গ্রাম গুলোর শহরে আশার একমাত্র রাস্তা পাকাতো দুরের কথা কাঁচা রাস্তা গুলো পাকা করতে আর ও উচু প্রসস্ত করা প্রয়োজন।
চরকোনা গ্রামটি ধামাই নদী তীরবর্তী ৪ বছর আগে ধামাই নদী খনন করায় তাদের গ্রামের বাসিন্দা কোন মতে চলাফেরা করে।
চরকোনা গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট মুরব্বি আকবর আলী, ফরিজ মিয়া,নাসির উদ্দিন, রহিম উদ্দন, আব্দুল হান্নান, আলা উদ্দিন ইউ পি সদস্য ফখরুল ইসলাম সহ অনেকে জানান বাঘের কোনা কাহার মিয়ার বাড়ির সম্মুখ হইতে উওর চরকোনা জামে মসজিদের ৩ শত ফুট পশ্চিম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা নিচু হওয়ায় প্রতি বছর বর্যা মৌসুমে রাস্তায় ৩ ফুট পরিমান পানি উঠে যায় এতে আমাদের যাতায়াতে খুবি কষ্ট করতে হয়। আবার পানি কমলে হাটু পরিমান কাঁদার সৃষ্টি হয়। এই দেড় কিলোমিটার রাস্তা ৪ ফুট উচু আর ৮ ফুট রাস্তা থেকে ১৫ ফুট প্রসস্ত করা হলে তাদের দূর্ভোগ থেকে মুক্ত হবে। রাস্তাটি উঁচু করে পাকা করার উপভোগী কবার দাবি আমাদের এলাকাবাসী সকলের ।
এছাড়া বাঘের কোনা গ্রামের আছার উদ্দিনের বাড়ির পাশ হইতে ধামাই নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য ৩ শত ফুট গার্ড ওয়াল করা হলে দূর্ভোগ থেকে মুক্ত হবো।
তারা আরও জানান বড়লেখা উপজেলার সুজানগর
ইউনিয়নের হাওরপারের ১০ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ,ও স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্টানে যেতে এছাড়া শহরে যাতায়াত করতে লোকজন চরম দূর্ভোগ করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে রোগীদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আশা যাওয়া করতে হয় চরম সমস্যায় পড়তে হয়।
তারা আরও জানান হাওরপারের এ সব গ্রামের শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূল্যক ৩ মাস ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়।
চরকোনা গ্রামের কোন রাস্তা ছিলো না ৪ বছর আগে ধামাই নদী খননের ফলে নদীর পার দিয়ে গ্রামের লোকজন চলাফেরা করছে।
বর্তমানে ধামাই নদীর পানির তুড়ে কয়েক স্হানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
তেরাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পার্থ রঞ্জন দাস ও হাজী সামছুল হক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিন জানান বর্যা মৌসুমে রাস্তার উপর ৩ ফুট পরিমাণ পানি থাকে নৌকা সল্পতায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারে না এতে মারাত্মক ভাবে পাঠদানে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হয়।শিক্ষকরা দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তা উচু করার দাবি জানান
কতৃপক্ষের নিকট।
স্হানীয় সুজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম জানান আমার ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের রাস্তা গুলোর অবস্থা খুবি খারাপ লোকজন চলাচলের উপযোগী না।,এ কাচা রাস্তা গুলো পাকা করার উপযোগী করতে বড় বরাদ্দ প্রয়োজন।