স্টাফ রিপোর্টার, আরাফাত সিকদার
চট্টগ্রাম লোহাগাড়া উপজেলা অন্তর্গত কলাউজান ইউনিয়ান পরিষদের দুই দুইবারের অবৈধ নৌকায়
নির্বাচিত চেয়ারম্যান এম এ ওয়াহে ও তার সহযোগি
ভোট চিন্তায়কারীর প্রধান এজেন্ট মোঃ শাহজাহান এখনো এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিগত ২০০৮ সালে অবৈধ স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইউনিয়ান পরিষদ থেকে শুরু করে সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে চেয়ারম্যান ওয়াহেদ ও সহযোগী শাহজাহান।
গত ২০০৮ সালের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এম এ ওয়াহেদ নৌকা নিয়ে নির্বাচন অংশগ্রহণ করায়।কলাউজান ইউনিয়নের নয়টি কেন্দ্রয় মধ্যে ভোট ছিনিয়ে নিয়েছিল তার সন্ত্রাস বাহিনীর দল শাহজাহানের নেতৃত্বে এসব কর্মকান্ড ঘটে।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জনাব নুরুল আলম চৌধুরী নুরু তার জয় সুনিশ্চিত দেখে এম এ ওয়াহেদ ও তার সহযোগী শাহজাহান তার নেতৃত্বে কলাউজান ৭ নম্বর ওয়ার্ড কানুরাম বাজারে পূর্ব পাশে ওয়াহেদ চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করে শাহজাহান ও আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা।
গাড়ি ভাঙচুর কে কেন্দ্র করে লোহাগাড়া থানায় একটি ভাঙচুর ও হত্যা মামলার দায়ী করে এম এ ওয়াহিদ নিজে বাদী হয়ে। এই মামলায় প্রধান আসামি করে চেয়ারম্যান প্রার্থী জামায়াত ইসলামের সমর্থিত নুরুল আলম চৌধুরী নুরু কে।
এক নাম্বার আসামি করেন ও দুই নাম্বার, মৃত্যুর শাহাবুদ্দিন চৌধুরী চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাদের সমর্থক কে কেন্দ্র করে নিরহ ও অসাধারণ, শতাধিক মানুষকে এজাহার ভুক্ত করে লোহাগাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ী করেন এম এ ওয়াহেদ। এই মামলায় দীর্ঘদিন জেল নির্যাতিত শিকার হয়েছে কলাউজান ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণ ও নিরীহ মানুষ।
ওয়াহেদ চেয়ারম্যানের সহযোগী ও ভোট ছিনতাই কারীর প্রধান এজেন্ট ও মুল হোতা মোহাম্মদ শাহজাহান সরকারি বরাদ্দকৃত ইউনিয়ন পরিষদের যে চাল গুলো আসতো, এসব চালগুলো বিক্রি করতো শাহজাহানের নেতৃত্বে।
গত ৫ই আগস্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ার কারণে।
অবৈধভাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান এম এ ওয়াহেদ রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামি হওয়ার কারণে।পলাতক বলে জানতে পারি।কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার সহযোগী শাহজাহান এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে বর্তমানে শাহজাহানের হাতও রয়েছে এবং সরকারি বন বিভাগের গাছের টোকেন। ও সরকারি টি আর সি অন্তর্ভুক্ত ইউনিয়ন পর্যায়ের চাউলের এজেন্ট রয়েছে। ওই এজেন্ট টি শাহজাহান এর হাতে এখনো পর্যন্ত চলমান।
কিন্তু দুঃখের বিষয় শাহজাহান এখন এলাকায় পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছে। সে নাকি একজন বিএনপি’র বড় নেতা। আমরা এই বিষয় নিয়ে উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানতে পারি শাহাজান নামে কোন ব্যক্তিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে কোন আশ্রয় প্রদান করবে না। যদি দলীয় নাম বিক্রি করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।
এ বিষয় নিয়ে সর্বস্তরের মানুষের একটাই দাবি অতি শীগ্রই এসব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত টিম গঠন করে শাহজাহান ও তার সন্ত্রাস বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এলাকায় হত্যা নৈরাজ্যসহ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।