মোহাম্মদ দিদার উদ্দিন, ক্রাইম রিপোর্টার, হাতিয়া
নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার এক অদ্ভুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চরকিং বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি জাহাজমারা ইউনিয়নের জাহাজমারা বাজার থেকে আধা কিলোমিটার দক্ষিণে ২নং ওয়ার্ডে অবস্থিত।
চরকিং ইউনিয়ন থেকে এই বিদ্যালয়টি জাহাজ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড এ স্থানান্তরের কথা থাকলে। স্থানান্তর করা হয়নি।এই বিদ্যালয়। বিদ্যালয় পরিদর্শক. মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা থেকে ১৮/৬/১৩ তারিখে স্থানান্তরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।
এই বিদ্যালয়ের পরিচালক কেরানী হতে প্রমোশন নিয়ে এমপিও নীতিমালা- ভঙ্গ করে প্রধান শিক্ষকের পদবী প্রাপ্ত জনাব জহির উদ্দিন। যোগ্যতায় অযোগ্য হলেও তিনি মুল ক্যাম্পাসের বাহিরে জাহাজ মারা ইউনিয়নে শাখা খুলে সাধারণ শিক্ষার পাশা পাশি কারিগরী শাখায় ২টি ট্রেড় তথা কম্পিউটার ও ফুড় প্রসেজিং এন্ড প্রিজার বেশন নামক দুটি ট্রেড পরিচালনা করছেন। এই দুটি ট্রেডে নৈশ প্রহরী, ঝাড়ুদার, অফিস সহকারী- নিয়োগে লাখ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আছে। বিদ্যালয়ের টয়লেটের পানির ট্যাঙ্ক বাসায় স্থাপনেরও অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, ২০১৭ সালে এই প্রধান শিক্ষক জাহাজ মারাতে শাখা খুলে তিন বছর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা পর এটি বন্ধ করে শিক্ষাও সমাজের ক্ষতি সাধন করেছেন। এতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়েছে। উপবৃতি বঞ্চিত ও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে যে, জনাব জহির উদ্দিন ২০২২ সালে আবারও বন্ধ শাখা চালু করে সাধারন শিক্ষা কারিগরীর ২টি ট্রেড় চালু কারেন। ভর্তি সংক্রান্ত কোন প্রচারনাই তিনি করেননি, কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের বিধি লঙ্গন করে ট্রেড় দুটিও বন্ধের পর্যায়ে। হাজিরা খাতা পর্যালোচশ করে দেখা গেছে যে, উক্ত শাখায় জনাব প্রধান শিক্ষক ২ বছরে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৯ দিন আর সহকারী প্রধান শিক্ষকের কর্ম দিবস শুন্য।
গত ২ বছর পরিচালনার শেষে এসে আবারো বিদ্যালয় বন্ধের নোটিশ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয় চত্ত্বরে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মানব বন্ধন, প্রতিবাদসভা ঝাড়ু মিছিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তারা প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন, সহকারী প্রধান শিক্ষক ফখরুল ইসলাম, প্রবীর চন্দ্র মজুমদার ও আহসান উল্যাহ এর পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবী পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এধরনের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধের মুল হোতা এই ৪ জনের শাস্তি দাবী করেন। ৬ষ্ঠ শ্রেনি সহ সকল শ্রেনিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল রাখার দাবী জানান। চাকরীচ্যুত করে সকল আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের ও তাগিদ দেন ভুক্তভোগীরা।
একাধিক সুত্র থেকে জানা গেছে, এই প্রধান শিক্ষক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কেরানী থেকে প্রধান শিক্ষক হয়েছেন। ৫ জুলাইয়ের পর থেকে অসুস্থতার দোহাই দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।।।
অত্র এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একটাই চাওয়া স্বনামধন্য এ বিদ্যালয়টি কোন রাজনৈতিক কিংবা কারো প্ররোচনায় যেন বন্ধ হয়ে না য়ায।
এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন স্থানীয় জনগণ। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।