সুমন্ত তংচংগ্যা,স্টাফ রিপোর্টার-আলীকদম :
অভিমানে ফুটবল ছেড়ে ব্যবসায় বাংলাদেশের সাফ জয়ের নায়ক।
নারী ফুটবলারদের হঠাৎ করে ফুটবল ছেড়ে যাওয়ার মিছিল যেন থামছেই না। ২০২২ সালে সাফে প্রথম শিরোপা জেতার পর হুট করে ফুটবল ছেড়ে দিয়েছিলেন সিরাত জাহান, আঁখি খাতুন, আনুচিং মগিনী। এবার আরও এক ফুটবলার ঝরে পড়লেন। আনাই মগিনি বিদায় জানালেন ফুটবলকে। এমন দুর্দান্ত খেলোয়াড়
আনাইদের জন্য বাংলাদেশের ফুটবলে যোগ হয়েছিল একটা সাফ শিরোপা। ২০২১ অনূর্ধ্ব ১৯ পর্যায়ের সাফে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালের অন্তিম সময়ে গোল করেছিলেন আনাই। সেই এক গোলই বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিল ১-০ ব্যবধানের এক দারুণ জয়।
এরপর তিনি জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। তারপর দুটো সাফ খেলেছে বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল টিম । তার একটাতেও স্কোয়াডে রাখা হয়নি তাকে। ২০২২ সাফ জয়ের অন্যতম খেলোয়াড় ছিলেন তার ছোট বোন আনুচিং।
এবার সে অভিমানে ফুটবলই ছেড়ে দিলেন। ৩১ জনের মধ্যে সোমবার পর্যন্ত ৩০ জন মেয়ে ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। শুধু যোগ দেননি আনাই ।
তিনি এখন আছেন খাগড়াছড়িতে। কেন তিনি আর ফিরবেন না। তার ছোট বোন আনুচিং বিষয়টা জানালেন, ‘দিদি অভিমান করে ক্যাম্পে যোগ দেননি। বলতে গেলে খেলা ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ একজন ভালো ফুটবলার হয়েও খেলতে পারছিলেন না। ক্যাম্পে থাকলেও তাকে সাফে নিয়ে যাওয়া হয়নি। সাফের আগে বাংলাদেশ ভুটান সফর করেছিল। সেই সফরেও বিবেচনা করা হয়নি আনাইকে। দিনের পর দিন অবহেলার শিকার হয়ে অভিমান করে ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দিদি। তিনি বলেন,যেখানে নিজের কোন সম্মান নেই সেখানে অপমান নিয়ে থাকা কোন অর্থ নেই ।
ফুটবল তো ছেড়ে গেলেন, এখন কী করবেন আনাই? আনুচিংয়ের কাছ থেকে জানা গেল, তিনি ব্যবসায় নেমে গেছেন । তার ভাষ্য, ‘এখানে (খাগড়াছড়িতে) একটি দোকান দিয়েছেন দিদি। সেটা দেখাশোনা করছেন। আর খেলবেন না বলে আমাদের জানিয়েছেন। তাছাড়া ও তিনি বলেছেন আমার মত হাজার ও প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে বাংলাদেশে, এমন অবস্থা হলে অচিরে হাড়িয়ে যাবে সব দুর্দান্ত খেলোয়াড়। তিনি কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এবং সকল খেলোয়াড়দের যথাযথ সম্মান সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেছেন ।